নিজস্ব প্রতিবেদক: এডিস মশাবাহী ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ নগরের পাশাপাশি গ্রামে-গঞ্জেও ছড়িয়ে পড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে যে উদ্যোগ নেওয়ার প্রয়োজন ছিল সংশ্লিষ্টরা সেটা নিতে পারেনি। ফলে প্রতিদিন ডেঙ্গুতে মৃত্যুর পাশাপাশি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর চাপ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, চলতি সপ্তাহে (শনি-শুক্রবার) ডেঙ্গুতে ১৯ জনের মৃত্যু এবং ৪ হাজার ৭৮৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
গত সাত দিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১১ অক্টোবর কারও মৃত্যু না হলেও ৪১৩ জন হাসপাতালে, ১২ অক্টোবর ৬ জনের মৃত্যু এবং ৯৫৩ জন হাসপাতালে, ১৩ অক্টোবর তিনজনের মৃত্যু এবং ৮৫৭ জন হাসপাতালে, ১৪ অক্টোবর ৫ জনের মৃত্যু এবং ৮৪১ জন হাসপাতালে, ১৫ অক্টোবর চারজনের মৃত্যু এবং ৪৫৮ জন হাসপাতালে, ১৬ অক্টোবর একজনের মৃত্যু এবং ৭৫৫ জন হাসপাতালে, ১৭ অক্টোবর কারও মৃত্যু না হলেও ৫১০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বিজ্ঞাপনচলতি মাসে (অক্টোবর) এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু নিয়ে ১০ হাজার ৯৩৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। মারা গেছেন ৪৫ জন।
এ ছাড়া চলতি বছর ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৮ হাজার ২৮০ জন। এর মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৩৬০ জন। মারা গেছেন ২৪৩ জন।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার চালাতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেতনতা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available