নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বরাত দিয়ে জানা গেছে, মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডের একটি আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় মা লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তার কন্যা নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ (১৫) হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চুরি করতে দেখে ফেলায় এই হত্যার ঘটনা ঘটে।

১১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে এক ব্রিফিংয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এ তথ্য জানিয়েছে।


ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, আয়েশা নরসিংদীর সলিমগঞ্জের রবিউল ইসলামের মেয়ে এবং ঢাকার সাভারের হেমায়েতপুর পূর্বহাটি এলাকায় স্বামী রাব্বী সিকদারের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন। হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ বিভিন্ন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও প্রযুক্তির সহায়তায় তদন্ত চালিয়ে আসামিকে ধরার জন্য অভিযান চালায়। পরে ঝালকাঠির নলছিটি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার স্বামীকেও হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, মামলার বাদী আ জ ম আজিজুল ইসলাম তার বাসায় খণ্ডকালীন গৃহকর্মী হিসেবে চার দিন আগে আয়েশাকে নিয়োগ দেন। হত্যাকাণ্ড ঘটার দিন সকাল ৭টা ৫১ মিনিটে আয়েশা কাজ করার জন্য বাসায় আসে এবং সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে বাদীর মেয়ে নাফিসার স্কুল ড্রেস পরে বাসা থেকে পালিয়ে যায়। সে সময় একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থসহ অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে যায়।
মামলার বাদী স্কুল শিক্ষক আজিজুল বলেন, তিনি সকালে কর্মস্থলে যাওয়ার পর স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে পারেননি। দুপুরে বাসায় এসে স্ত্রী ও মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে মেয়েকে দ্রুত হাসপাতালে নেন, যেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। স্ত্রীও নিহত অবস্থায় বাসায় পাওয়া যায়।
মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার, জানান, হত্যাকাণ্ডের পর থেকে একাধিক টিম সিসি ফুটেজ ও প্রযুক্তির সাহায্যে রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চালায় এবং গ্রেফতার অভিযান পরিচালনা করে। এই মর্মান্তিক ঘটনার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available