নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর বিআরটিএ অফিসের মোটরযান পরিদর্শক মো. তারিক হাসান এখন শুধু একজন সরকারি কর্মকর্তা নন, বরং দেশের আর দশটা শিল্পপতির কাতারেই রয়েছে তার নাম। চাকরির অল্প সময়েই বেশুমার সম্পদের মালিক বনে গেছেন তিনি। করেছেন খামার, বাড়ি, গাড়িসহ বিপুল সম্পদ।
অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগের ছত্রছায় ঘুষ-দুর্নীতি করে এই অঢেল সম্পদ গড়েছেন তিনি। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পরিচয়ে এক সময় বিআরটিএতে রাজত্ব করা এই তারিক আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরও রয়েছেন দাপটে। বিভিন্ন সময় তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠলেও অজানা কারণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নীরব ভূমিকা পালন করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঝিনাইদহে কর্মরত থাকার সময় থেকেই তার বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ উঠে। ফিঙ্গারপ্রিন্টে সমস্যা সৃষ্টি, জাতীয় পরিচয়পত্রে জটিলতা দেখানো, পুরনো এমআরপি নবায়নের নামে টাকা হাতানো, এমনকি আওয়ামী লীগপন্থি দালাল চক্র দিয়ে পুরো বিআরটিএ নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি।
যশোরে বদলি হয়ে আসার পর এখানেও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন তিনি। প্রকাশ্যে চলে সেবাগ্রহীতাদের হয়রানি। এখানেও রয়েছে তার দালাল সিন্ডিকেট।
অভিযোগ আরও উল্লেখ করা হয়েছে, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস সার্টিফিকেট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, স্মার্ট কার্ড, ডুপ্লিকেট সার্টিফিকেট, রুট পারমিট কিংবা শ্রেণি পরিবর্তন, প্রতিটি ধাপেই বাধ্যতামূলক ঘুষ দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
অভিযোগ বলা হয়েছে, ঝিনাইদহে কর্মরত অবস্থায় লিটন নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নেয়ার পরও কাজ না করার অভিযোগে জনরোষের মুখে পড়ে সবার সামনে ক্ষমা চেয়ে অফিস ছাড়তে বাধ্য হন এই তারিক।
তার গ্রামের বাড়িতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর বাড়ির পাশে বিশাল পুকুর ও জমি কিনেছেন তারিক। এছাড়া, ড্রাগনের প্রজেক্ট তৈরি করেছেন কয়েক লাখ টাকা খরচ করে। তার ব্যক্তিগত গাড়িটির মূল্য ২৫ লাখ টাকার ওপরে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ওই অভিযোগে।
এ বিষয়ে যশোর বিআরটিএ অফিসের মোটরযান পরিদর্শক মো. তারিক হাসানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available