সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর ও পলাশবাড়ীতে অনুমোদনবিহীনভাবে চিকিৎসাসেবা পরিচালনা ও নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগে একই মালিকানাধীন চারটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, তাওহীদ রহমানের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন ধরে কোনো অনুমোদন ছাড়াই চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। এর মধ্যে রয়েছে সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাটে অবস্থিত নিউ লাইফ ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, পলাশবাড়ী পৌর শহরের জনসেবা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নিউ লাইফ ক্লিনিক অ্যান্ড ফিজিওথেরাপি সেন্টার ও নিউ লাইফ ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার।


গত ৮ নভেম্বর শনিবার জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযানে সাদুল্লাপুরের ধাপেরহাটে নিউ লাইফ ক্লিনিকটিকে লাইসেন্সবিহীনভাবে পরিচালনা এবং বিভিন্ন ত্রুটি ও অসঙ্গতি পাওয়ায় সিলগালা করা হয়। এরপর পলাশবাড়ীর বাকি তিনটি প্রতিষ্ঠানকেও পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেন জেলার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ও সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নাজমুল হুদা।
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে— প্রতিষ্ঠানগুলোতে চিকিৎসা সংক্রান্ত নানা অনিয়ম, প্রশিক্ষণবিহীন কর্মচারী নিয়োগ এবং ভুল চিকিৎসার কারণে প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর একাধিক ঘটনা ঘটেছে।
সম্প্রতি পলাশবাড়ীর জনসেবা ক্লিনিকে সিজার অপারেশনের সময় অ্যানেসথেসিয়ায় অনিয়মজনিত এক প্রসূতির মৃত্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। স্থানীয়দের প্রতিবাদ ও গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর প্রশাসন তদন্ত চালিয়ে অভিযোগের সত্যতা পায় এবং চারটি প্রতিষ্ঠানেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয় জানিয়েছে, নির্দেশনা অমান্য করে এসব ক্লিনিক পুনরায় চালু করার চেষ্টা করলে মালিকের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ক্লিনিক মালিক তাওহীদ রহমানের মন্তব্য জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available