নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার লাউরফতেহপুর গ্রামের রহস্যময় এক ডোবায় বছরে ১/২টা মরদেহ ভেসে উঠে। এবার মিললো এক তরুণীর মরদেহ।
ফারজানা আক্তার জুঁই (২০) পড়েন স্হানীয় কলেজে। সকালে উঠে কলেজে গেছেন ভেবে তেমন খোঁজ পড়েনি, সন্ধ্যার পরেও ঘরে না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। কিন্তু কোথাও পাওয়া যায়নি তাকে। নিখোঁজ হওয়ার দুই দিন পর ফারজানা আক্তার জুঁইয়ের (২০) মরদেহ ভেসে উঠে ওই ডোবায়।
২০ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে কচুরিপানা তুলতে গিয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তি মরদেহ দেখে আঁতকে ওঠেন। মুহূর্তেই খবর ছড়িয়ে পড়ে গ্রামজুড়ে।
মৃত জুঁই লাউরফতেহপুর ইউনিয়নের আবুল হাসনাতের মেয়ে। ব্যারিস্টার জাকির আহমেদ কলেজ থেকে সদ্য এইচএসসি পাস করে নবীনগর সরকারি কলেজে অনার্সে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য এমদাদুল হক ঈদন বলেন, ডোবাটি নিয়ে বহুদিন ধরে নানা গুজব আছে। অনেকে বলেন, এখানে জিনের আস্তানা রয়েছে, রাত হলেই আলো জ্বলে, সাদা কাপড়ে মানুষের মতো দেখতে চলাচল করে। নাহলে একের পর এক মৃত্যু কেমন করে ঘটে!
গ্রামের বাসিন্দা সুজন খন্দকার বলেন, এর আগে আমার ফুফাতো ভাইয়ের মরদেহও এই ডোবা থেকে উঠেছিল। আজ আবারও একই ঘটনা ঘটল। মনে হয় ডোবাটা মৃত্যুর ফাঁদ!
স্থানীয় বাসিন্দা মিলন বলেন, একদিন রাতে আমি ডোবার পাশে দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় ডোবা থেকে ভয়ানক এক শব্দ পাই।
জুঁইয়ের বাবা আবুল হাসনাত (৫৬) কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমার মেয়ে কারও সঙ্গে ঝগড়া বা কোনো খারাপ সম্পর্কেও জড়ায়নি। সবাই তাকে সহজ সরল, ভালো মেয়ে হিসেবে জানতো। কিন্তু এই অভিশপ্ত ডোবাই তার জন্য কাল হলো। আগেও মরদেহ পাওয়া গেছে, এবার আমার মেয়ের জীবন গেলো।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। রিপোর্ট এলে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available