মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি: মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার সুর্যুকুন্ডু গ্রামের এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে ছোট্ট একটি মাটির ঘর। আর এই ঘরেই বসবাস করেন মো. আমানউল্লাহ ফকির।

স্ত্রী নেই, দুই ছেলে নিয়ে থাকেন তিনি। খাবার দেন ২ ছেলে। নিজের ভাঙাচোরা জীবন নিয়ে বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। নেই তেমন নিজস্ব জমি, নেই সঞ্চয়। তবুও হাল ছাড়েননি। নিজেই কাঁধে মাটি বয়ে এনে, খুঁটি গেড়ে, ঘাম ঝরিয়ে তৈরি করেছেন নিজের থাকার জন্য একটি ছোট্ট মাটির ঘর।


এই ঘরের এক পাশে তাঁর জামাকাপড়, আর বাকি জায়গায় বিছানা পাতা। বর্ষা-শীতে দুর্ভোগ বেড়ে গেলেও সহ্য করে থাকেন দিনের পর দিন। প্রতিদিন শ্রম বিক্রি করে সামান্য যা পান, তা দিয়েই কোনো রকমে চলে তাঁর দিন।
আমানউল্লাহ ফকির বলেন, নিজের একটা ঘর তৈরির স্বপ্ন অনেক দিনের। সামর্থ্য নেই, কুমিল্লায় কাজের ক্ষেত্রে থাকার সময় অনেক মাটির ঘর দেখেছি, তাই মাটি এনে নিজেই একটা মাটির ঘর তৈরি করেছি। যদি কেউ একটু সাহায্য করে, একটা টিনের ঘর তৈরি করতে পারতাম। স্থানীয়দের অনেকেই বিষয়টি দেখেছেন, কেউ কেউ সহানুভূতি জানালেও এখনো সহায়তা করেনি।
একটি ঘর শুধু আশ্রয় নয়, এটি একজন মানুষের সম্মান, নিরাপত্তা ও বেঁচে থাকার সাহস। মো. আমানউল্লাহ ফকিরের জীবনে যদি একটু আলো ফেলা যায়, তাহলে সমাজও হবে আরও মানবিক, আরও সহমর্মী।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available