ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি: পাবনার ঈশ্বরদীতে পদ্মা নদীর সাঁড়া চরাঞ্চলে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের অস্ত্র প্রশিক্ষণের আস্তানা উচ্ছেদ ও নদী পাড়ের বাসিন্দাদের নিরাপত্তার দাবিতে মানববন্ধন করেছে নদী পাড়ের সাধারণ জনগন ও ব্যবসায়ী বৃন্দ।
৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ১১ ঘটিকায় উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের ৫নং ঘাটের ক্যানাল পাঁড়ায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তব্যকালে মো. রাজু বলেন, নদীর দ্বায়িত্বে থাকা লক্ষীকুন্ডা পুলিশ ফাঁড়ির ওসি মো. শফিকুল ইসলাম অত্রাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের হামলাকে সিনেমা মনে করে তিনি সেখানে দর্শকের ভূমিকা পালন করেন। তিনি এখানে মূলত আছেন সিনেমা দেখতে। ওসি সন্ত্রাসীদের আটক না করে তাদের পালিয়ে যেতে সহযোগীতা করেন বলেও মন্তব্য করেন।
তিনি উপজেলা প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা করে আরও বলেন, এই অথর্ব উপজেলা প্রসাশন থাকলে আমাদের কপালে আরও খারাপ আছে। কেননা তার অধীনস্থ পুলিশ প্রসাশন শুধু ঘুমায়। তারা আমাদের কোন উপকারে আসে না। তাই আমরা এই অকেজো ইউএনওর পদত্যাগ দাবি করছি।
রেজিয়া খাতুন বলেন, সন্ত্রাসীরা নদীদিয়ে এসে আমাদের উপড়ে গুলি করে চলে যায়। আর পুলিশ বসে বসে তামাসা দেখে। তাছাড়া গুলি করে পালিয়ে যাওয়ার ৪ ঘন্টাপর পুলিশ আসে কি করে ? তাদের আসলে প্রধান কাজ কি ? এখানে সন্ত্রাসদের প্রশিক্ষনের আস্তানা হিসেবে গড়ে উঠেছে। তারা তাদের অস্ত্রের মহড়া দেয় এই এলাকাতে এসে। এগুলো উপজেলা প্রসাশনকে বন্ধ করাসহ অমাদের জানমালের নিরাপত্তা দিতে হবে।
বুকে গুলি খেয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জালড়া সন্তানের জন্য আহাজারি করে ফাহিমা খাতুন বলেন, ওরা অমার ছেলেকে বাঁচতে দিল না। আমরা সব হারিয়ে এই নদীপাড়ে বসতি স্থাপন করেছি এটাই কি আমাদের দোষ? আমরা এই ঘটনার সঠিক বিচার চাই। ইউএনও সাহেব আমাদের সঠিক বিচার করে দেবেন।
নদীর তীরবর্তী বসবাসকারী জজমিঞা ডালি, শাহ আলম এবং মো. দুলাল হোসেন বলেন, মাঝরাতে সন্ত্রাসীরা নদীপথে এসে আমাদের বাড়ী টার্গেট করে বৃষ্টির মত গুলি বর্ষণ করেন। এতে করে আমদের ঘরের টিনের বেড়ায় প্রায় ৫ শতাধিক ফুটো হয়ে গেছে। আমরা সর্বদা প্রাণ সংশয়ে আছি। আমরা উপজেলা প্রসাশনের কাছে আমাদের নিরাপত্তা দাবি করছি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available