কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি: বাবা-মা কেউ নেই। ২০০৯ সালের ৩১ মার্চ বাড়িতে নিয়ে আসেন রাজিয়া খাতুন। সেই থেকে লালন-পালন করেছেন। এইচএসসি পাস করিয়ে ভর্তি করেছিলেন নার্সিংয়ে। কিন্তু ২০ আগস্ট বুধবার সন্ধ্যায় আত্মহত্যা করে পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন শামীমা নাসরিন। মৃত্যুর আগে তিনি একটি চিরকুট লিখে রেখে গেছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বলিদাপাড়ার ওয়াফদা এলাকায়।
চিরকুটে শামীমা লিখেছেন, ‘এই পৃথিবীতে আমার কেউ নেই। যে ছিল সে চলে গেছে। আমার আর অধিকার নেই এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার। আমার ইচ্ছের কোনোর দাম নেই। আমার মৃত্যু জন্য কেউ দায়ী নাহ। আমি ইচ্ছে করেই আমার এই জীবন শেষ করে দিলাম।’
শামীমার পালক মা রাজিয়া খাতুন বলেন, তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবিকা পদে চাকুরি করতেন। আড়াই বছর বয়সে ওর মায়ের কাছ থেকে বাড়িতে নিয়ে আসেন শামীমাকে। এরপর আর কেউ তার খোঁজ-খবর নেয়নি। মেয়েকে এইচএসসি পাস করিয়ে নার্সিংয়ে ভর্তি করিয়েছিলেন। কিন্তু বুধবার সন্ধ্যায় সে আত্মহত্যা করেছে।
তিনি আরও বলেন, তিনতলা বাড়িতে শামীমা নিচতলায় থাকতো। নিচতলায় অন্য কেউ না থাকায় সে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ফ্যানের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
কালীগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, সুরতহাল রিপোর্টে মেয়েটির শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available