• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ২৪শে কার্তিক ১৪৩১ সকাল ১১:০৩:১৭ (08-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ২৪শে কার্তিক ১৪৩১ সকাল ১১:০৩:১৭ (08-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

আন্তর্জাতিক

সুদানের পূর্বাঞ্চলে আধাসামরিক বাহিনীর হামলায় নিহত ১২০

২৮ অক্টোবর ২০২৪ সকাল ১১:৫৮:২৩

সুদানের পূর্বাঞ্চলে আধাসামরিক বাহিনীর হামলায় নিহত ১২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সুদানের পূর্ব-মধ্যাঞ্চলের একটি শহরে আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের যোদ্ধাদের কয়েকদিনের হামলায় ১২০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে চিকিৎসকদের একটি গ্রুপ ও জাতিসংঘ।

সুদানের সামরিক বাহিনীর কাছে একের পর এক বিপর্যয়ের শিকার হওয়ার পর এটি ছিল গোষ্ঠীটির সর্বশেষ হামলা। দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধ আফ্রিকার দেশটিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। লাখ লাখ জনগণকে বাস্তুচ্যুত করেছে এবং দেশটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে।

আরএসএফ যোদ্ধারা গত ২০-২৫ অক্টোবরের মধ্যে গেজিরা প্রদেশের পূর্ব ও উত্তরাঞ্চলের গ্রাম ও শহরগুলোতে তাণ্ডব চালান। তারা বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গুলি চালান এবং নারীদের ওপর যৌন নির্যাতন চালায়। এছাড়া তারা খোলা বাজারসহ ব্যক্তিগত ও সরকারি সম্পত্তি লুটপাট করেছে।

ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের ট্র্যাকিং ম্যাট্রিক্সের রবিবারের তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহে তাম্বুল শহর এবং পূর্ব ও উত্তর গেজিরার অন্যান্য গ্রামের ৪৬ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

আইওএমের মহাপরিচালক অ্যামি পোপ আগামী সপ্তাহে সুদান সফরের আগে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেন, ‘গেজিরা প্রদেশে হত্যাকাণ্ড এবং ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন সুদানের জনগণের উপর এই সংঘাতের অগ্রহণযোগ্য মানবিক ক্ষতিকে আরও তীব্র করে তুলেছে।’

সংঘাত বন্ধে সমন্বিত আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'নষ্ট করার সময় নেই। লাখ লাখ মানুষের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে।’

সুদানে জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ সমন্বয়কারী ক্লেমেন্টাইন এনকোয়েতা-সালামি শনিবার এক বিবৃতিতে বলেন, 'এগুলো নৃশংস অপরাধ। নারী, শিশু এবং সবচেয়ে অরক্ষিত লোকেরা এমন একটি সংঘাতের ধকল বহন করছে; যা ইতোমধ্যে বহু জীবন কেড়ে নিয়েছে।’

তিনি বলেন, ২০০০ সালের গোড়ার দিকে দারফুর গণহত্যার সময় ধর্ষণ, যৌন সহিংসতা ও গণহত্যাসহ যে ভয়াবহতা সংঘটিত হয়েছিল তার সঙ্গে এই হামলার মিল রয়েছে।

জানজাভিদ নামে পরিচিত আরব মিলিশিয়া থেকে আরএসএফ সৃষ্টি হয়েছিল। সুদানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ওমর আল-বশির দারফুরের মধ্য বা পূর্ব আফ্রিকান হিসেবে চিহ্নিত জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এসব বিদ্রোহীদের একত্রিত করেছিলেন। এ সময় জানজাভিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, ধর্ষণ ও অন্যান্য নৃশংসতার অভিযোগ আনা হয় এবং দারফুর গণহত্যার সমার্থক হয়ে ওঠে। জানজাভিদ গ্রুপগুলো এখনো আরএসএফকে সহায়তা করছে।

সুদানিজ ডক্টরস ইউনিয়ন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সারিহা শহরে কমপক্ষে ১২৪ জন নিহত ও ২০০ জন আহত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলোতে ত্রাণ সংস্থাগুলো যাতে মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে, সেজন্য 'নিরাপদ করিডোর' খোলার জন্য আরএসএফকে চাপ দিতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, 'আহতদের সাহায্য করা বা চিকিৎসার জন্য তাদের সরিয়ে নেওয়ার কোনো উপায় নেই।’

 

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ