মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি: মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ডিজিটাল স্কিল ফর স্টুডেন্টস ইউনিভার্সিটি অ্যাক্টিভিশন প্রোগ্রাম’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৫ মে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের হল রুমে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে আইসিটি বিভাগের অধীনে কম্পিউটার কাউন্সিলের ইনহ্যান্সিং ডিজিটাল গভর্মেন্ট ইকোনমি (ইডিজিই) প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ ফরহাদ হোসেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ আর এম সোলাইমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও প্রকল্প সমন্বয়কারী ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন। সভাপতিত্ব করেন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেহেদী হাসান তালুকদার। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ও প্রশিক্ষণার্থীদের পক্ষে থেকেও বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে দেশের বর্তমান শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএসই বিভাগের তত্বাবধানে গত ৯ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে এ প্রকল্পের ট্রেনিং প্রোগ্রামের ক্লাশ।
১৮ মাস মেয়াদি এ প্রকল্পের আওতায় ২৪টি ব্যাচে ২৫ জন করে ৬০০ শিক্ষার্থীকে ৫টি ল্যাবে হাতে কলমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। প্রশিক্ষণ কোর্সে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের এবং টাঙ্গাইলের বিভিন্ন কলেজের অনার্স এর ৩য় বর্ষ থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত আগ্রহী শিক্ষার্থীরা প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন।
শনি থেকে বুধবার অফিস সময়ের পরে বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা এবং বৃহস্পতি ও শুক্রবার দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কোর্সের ক্লাশ চলে। প্রতিটি ব্যাচের জন্য ২০টি করে ক্লাশ নেয়া হয়। ৯ মার্চ থেকে কার্যক্রম শুরু হলেও আজকে এ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
প্রধান অতিথি বলেন, আজকের এ অনুষ্ঠানে এসে নিজেকে সমৃদ্ধ করার সুযোগ পেয়েছি। অনেক সময় বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি থেকে সমালোচনা আসে, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমরা এমন শিক্ষার্থী দেয় যাদেরকে কাজে লাগানো যায় না। আমি তাদেরকে উত্তরে বলি, আমরা গাছকে কেটে ছোট ছোট কাঠ করে দেয়, আমরা ফার্নিচার তৈরি করা দেয় না, কারণ আমরা এক রকমের ফার্নিচার তৈরি করলে পরে; অন্যরকম ফার্নিচার তৈরি করা যাবে না। আমরা এমনভাবে কাঠ তৈরি করে দেয়, যাতে পরবর্তীতে ভোক্তা তার পছন্দ অনুযায়ী ফার্নিচার তৈরি করতে পারে। আমরা শিক্ষার্থীদের সাধারণ শিক্ষাগুলো দেয়, যাতে তার পছন্দের ফিল্ডে মুভ করতে পারে। আমাদের অনেক শিক্ষার্থী খুবই ভালো মানের গবেষণা করছে। বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তারা গবেষণা করছে। যারা বাহিরে যাচ্ছে তাদের সংখ্যাটা খুবই কম। যারা গবেষণা না করে অন্যদিকে থাকবে তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে আগে স্মার্ট নাগরিক তৈরি করতে হবে। এ প্রকল্পের অধীনে যে সকল শিক্ষার্থীরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছে, তারা স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখবে। এভাবে যদি আমাদের শিক্ষার্থীরা নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তোলে, তাহলে ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নেও তরান্বিত করবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available