• ঢাকা
  • |
  • সোমবার ৩০শে বৈশাখ ১৪৩১ দুপুর ০১:০৮:০৫ (13-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • সোমবার ৩০শে বৈশাখ ১৪৩১ দুপুর ০১:০৮:০৫ (13-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

আখাউড়ায় ভুল চিকিৎসায় নবজাতক শিশুসহ মায়ের মৃত্যু অভিযোগ

৬ মে ২০২৩ দুপুর ০২:৪৬:২৭

আখাউড়ায় ভুল চিকিৎসায় নবজাতক শিশুসহ মায়ের মৃত্যু অভিযোগ

মোহাম্মদ আবির, আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভুল চিকিৎসায় শাহিদা আক্তার খুকি (২৩) নামের এক প্রসূতি মা ও তার নবজাতক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

৫ মে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে আখাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নর্মাল ডেলিভারির সময় এ ঘটনা ঘটে। এর আগে, সকালের দিকে প্রসূতির প্রসব ব্যথা হলে নরমাল ডেলিভারির জন্য আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করানো হয়।

চিকিৎসকের অবহেলায় নবজাতকসহ মায়ের মৃত্যু হয়েছে বলে নিহত প্রসূতি পরিবারের স্বজনেরা অভিযোগ করেন। ঘটনাটি টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে। নিহত প্রসূতি আখাউড়া মোগড়া ইউনিয়নের খলাপাড়া গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের কন্যা কসবা উপজেলার ধর্জয়নগর এলাকার  কুয়েত প্রবাসী শাহীন মিয়ার স্ত্রী।

স্বজনদের অভিযোগ, আখাউড়া পৌর শহরের মসজিদপাড়া এলাকার বাসিন্দা শাহিদা আক্তার খুকির (২৩) প্রসব ব্যথা উঠলে স্বজনরা শুক্রবার সকালে প্রসূতিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিডওয়াইফ আমেনা আক্তার সুমনার মাধ্যমে স্বাভাবিক ডেলিভারি হয়। জন্ম নেয় ছেলে সন্তান। এ সময় প্রসূতির প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকে। রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় ও নবজাতকের শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট হওয়ায় কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার গোলাম মোস্তাফা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দ্রুত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নেওয়ার কথা বলেন। পরে স্বজনরা প্রসূতি ও নবজাতককে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মা ও নবজাতক শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন।

আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হিমেল খান জানান, রোগীর অবস্থা ভালোই ছিল এবং আমরা স্বাভাবিকভাবেই নরমাল ডেলিভারি করেছি। একপর্যায়ে তার রক্তক্ষরণ শুরু হলে তাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসকের অবহেলায় মারা যায়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারপরও চিকিৎসকের যদি কোনো ভুল থাকে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শাহিদা আক্তার খুকির চাচা খলাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার ভাতিজি সকালে ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার ডাক্তার ফারিহা সুলতানা ভর্তি করাতে বলেন। তখন মিডওয়াইফ আমেনা আক্তার সুমনা আমার ভাতিজিকে হাসপাতালে ভর্তি নেন। ভর্তি নেওয়ার পর থেকেই তারা নানা ধরণের অবহেলা করতে থাকে। বাচ্চা বড় হওয়ায় ভিতর থেকে টেনে টুনে বের করে রগ যা ছিল ছিড়ে যাওয়ার কারণে ব্লেডিং হয়েছে প্রচুর। এক পর্যায়ে তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেফার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবজাতক প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর ম্যানেজার বলেছেন সে অলরেডি স্বর্গে চলে গেছে। আপনারা তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সদর হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাক্তার থাকে মৃত ঘোষণা করে। বাচ্চাও ৩ ঘটিকার সময় মারা গেছে।

 

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ