এশিয়ান রেডিও
এশিয়ান রেডিও
নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইল সদর উপজেলার হিজলডাঙ্গায় পৌষের গ্রামীণ মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রায় ৮০ বছর ধরে এ মেলা হয়ে আসছে। সরেজমিন ১৫ জানুয়ারি সোমবার দুপুরের দিকে এ মেলায় গিয়ে দেখা যায়, হাজার হাজার দর্শক এ মেলায় এসেছেন। তীব্র শীত উপেক্ষা করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এ মেলায় ছুটে এসেছেন। দুপুর গড়িয়ে বিকেলের দিকে মেলায় মানুষের ভিড় বাড়তেই থাকে। এক পর্যায়ে মেলায় প্রচন্ড ভিড় পরিলক্ষিত হয়।
এ মেলার আয়োজক কমিটির সভাপতি স্বপন কুমার রায় জানান, দীর্ঘ প্রায় ৮০ বছর ধরে নড়াইল সদর উপজেলার মুরিয়া ইউনিয়নের হিজলডাঙ্গায় এ মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতি বছর পৌষের শেষ দিন এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। জনৈক পাগল হিজলডাঙ্গা এসে থাকতেন। তিনি হিজলডাঙ্গা মারা যান। তার কাছে এসে অনেকেই উপকৃত হয়েছেন। তিনি মারা যাওয়ার পর তার সমাধিতে এসে অনেকে মানত করে সুফল পান। সেই থেকে এ তীর্থ স্থান সমৃদ্ধ ও পরিচিতি বাড়তে থাকে।
তিনি আরও জানান, পাগল চাঁদ তার জীবদ্দশায় হিজলডাঙ্গায় পৌষের শেষ দিন মেলার প্রচলন করে যান। সেই থেকে প্রতিবছর মেলা হয়ে আসছে। এই মেলায় বিভিন্ন দোকানীরা পসরা সাজিয়ে বসেন। শিশু-কিশোরদের জন্য নাগরদোলা, চরকিসহ বিভিন্ন বিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে। বিশেষ করে গ্রাম বাংলার আবহমানকাল ধরে ব্যবহৃত একেবারেই গ্রামীণ সংস্কৃতির ছোয়া রয়েছে এ মেলায়। বিক্রি হচ্ছে বাঁশ ও বেত এর তৈরি ধামা, কুলা, চালন, খুচি, পোলো, বাঁশিসহ বিভিন্ন ধরনের তৈজসপত্র।
হিজলডাঙ্গা গ্রামের মনোরঞ্জন, প্রলাপ, প্রসেনসহ আরও অনেকে জানান, এ মেলার সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট হচ্ছে মাত্র একদিনে মেলা। অথচ অনেক লোক সমাগম হয়। আর এ মেলার জন্য কোন দিন কোন প্রচার করা হয়নি। তারপরও প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন এলাকা এবং পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারত থেকে প্রচুর লোক এ মেলায় আসেন।
ভারত থেকে আসা একাধিক লোক বলেন, এ মেলার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ এটি হিন্দু ধর্মাবলম্বিদেও একটি তীর্থ স্থান। তাছাড়া এ মেলার নিরাপত্তায় থাকেন স্থানীয় যুবসমাজ। যারা অত্যন্ত সুশৃংখলভাবে সাধারণ মানুষদের সেবা দিয়ে থাকেন।
House-60, Block-A, Road-1, Gulshan 1, Niketon, Dhaka, Bangladesh.
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available