• ঢাকা
  • |
  • সোমবার ৩০শে বৈশাখ ১৪৩১ দুপুর ০১:২৯:১৯ (13-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • সোমবার ৩০শে বৈশাখ ১৪৩১ দুপুর ০১:২৯:১৯ (13-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

নোয়াখালীতে মাদক কারবারির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় প্রাণ গেল যুবকের

১৮ নভেম্বর ২০২৩ বিকাল ০৩:০২:০৩

নোয়াখালীতে মাদক কারবারির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় প্রাণ গেল যুবকের

নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীতে মাদক কারবারির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় হুমায়ুন কবির মুকুল নামে এক যুবককে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। পরে হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে তার মৃত্যু হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ১৮ নভেম্বর শনিবার সকালে ওসি (ডিবি) নাজিম উদ্দিন আহম্মেদ জানান, এ ঘটনায় একজনকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো রয়েছে। বাকী আসামিরা  জামিনে রয়েছে।

শুক্রবার দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন লাইফ সাপোর্ট অবস্থায় মুকুলের মৃত্যু হয়।

এর আগে, গত ১ অক্টোবর সকালে উপজেলার সাহেবের হাট পশ্চিম বাজারে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন নিহত তিনি।

নিহত মুকুল উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের আবদুল্যাহপুর গ্রামের মো. আবদুল কাদের ডাক্তারের ছেলে।

নিহতের ভাই আবদুল মাবুদ পলাশ জানান, তার ভাই মুকুল সেনবাগ উপজেলায় একটি বাড়ি-একটি খামার প্রকল্পে কর্মরত ছিলেন। তিনি এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুবাদে বিভিন্ন সময় মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কথা বলতেন। মাদক কারবারির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে প্রতিবাদ করায় কয়েক মাস আগে মাদক কারবারি কালামের সঙ্গে বাকবিতন্ডা হয় মুকুলের। এর জেরে তার উপর হামলা হয়।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইয়াছিন আরাফাত বলেন, গত ১ অক্টোবর সকালে বাবার সঙ্গে নবজাতক শিশুর জন্য কেনাকাটা করতে সাহেবের হাট বাজারে যায় মুকুল। এসময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মাদক ব্যবসায়ী কালাম/ কালা চোরা, ওমর, সাহাব উদ্দিন, সবুজ, রায়হানসহ তাদের সঙ্গীয় সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে মুকুলের ওপর হামলা করে। এতে মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুত্বর আহত হয় মুকুল। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় ১ মাস ১৬ দিন পর শুক্রবার সকালে মারা যায় মুকুল।

মুকুলের বাবা মো. আবদুল কাদের ডাক্তার বলেন, ঘটনার পর মাদক কারবারি কালাম ও তার সঙ্গীয়দের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করেছি। ওই মামলায় আসামিরা কোর্ট থেকে জামিনে এসে আমার বাড়িতে মামলা তুলে নিতে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যায়। এতে আমরা আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। পরে সুধারাম থানায় একটি জিডিও করি। কিন্তু আসামিরা গ্রেফতার হয়নি।

এ বিষয়ে সুধারাম মডেল থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান পাঠান বলেন, ঘটনার পর পরই একটি মামলা নেওয়া হয়েছে। ওই মামলাটিতে এখন ৩০২ ধারা যোগ হবে। মামলাটি এখন জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত করছে। 

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ