নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করে বলেছেন, ‘নির্বাচন ব্যর্থ করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দিল্লিতে বসে শেখ হাসিনাকে আড়াই হাজার কোটি টাকা দিয়েছে এস আলম গ্রুপ।’
২৭ আগস্ট বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমদের দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও ভাসানী জনশক্তি পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকারের মধ্যে এখনো এমন একটি গোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে, যারা গণতন্ত্রকামী শক্তির বিরুদ্ধে কাজ করছে। তারা চায় না গণতান্ত্রিক শক্তি ক্ষমতায় আসুক। তবে আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সব ধরনের সহযোগিতা করেছি। কোথাও কোনো বাধা সৃষ্টি করিনি। এমনকি বড় কোনো দাবি তুলে সরকারকে বিপদে ফেলিনি। কিন্তু এখন কিছু রাজনৈতিক মহল পরিকল্পিতভাবে নির্বাচন ব্যাহত করতে নতুন নতুন দাবি তুলছে। যেসব দাবি সাধারণ মানুষের কাছে একেবারেই অপরিচিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংখ্যানুপাতিক ভোট প্রতিনিধিত্ব (পিআর) বোঝানোই কঠিন। মানুষ কাকে ভোট দিল, তা সংসদে প্রতিফলিত হয় না। এতে বিভ্রান্তি তৈরি হয়।’
বিএনপি মহাসচিব মনে করেন, ‘নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন হলে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হতো না।’ তিনি বলেন, ‘গত বছরের ৫ আগস্টের পরই আমি বলেছিলাম, তিন মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। তখন নতুন সরকার জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংস্কার শুরু করতে পারত। কিন্তু সময়ক্ষেপণের ফলে গণতান্ত্রিক শক্তির বদলে অন্যরা সুবিধা নিচ্ছে।’
এক বছরে কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যেদিকে তাকাই, দেখি বেশিরভাগ মানুষই নষ্ট হয়ে গেছে। দুর্নীতি আর দুর্নীতি। যে পরিবর্তন আসার কথা ছিল, তা আসেনি। আরও দুর্ভাগ্যজনক যে, রাজনৈতিক নেতারাও এতে জড়িত। আজ বাংলাদেশকে বাঁচাতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘যারা ৭১-এ মুক্তিযুদ্ধে অপকর্ম করেছে, তারাই আজ বড় বড় কথা বলছে। আমাদের আরও সজাগ থাকতে হবে। আমরা যদি মনে করি জিতে গেছি, তাহলে বিরাট ভুল হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপির একমাত্র লক্ষ্য বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। আমাদের ৩১ দফায় সব বিষয় অন্তর্ভুক্ত আছে। আমরা শুরু থেকেই সংস্কারের পক্ষে ছিলাম। বিদ্যমান রাষ্ট্রকাঠামোয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়, এটি উপলব্ধি করেই আমরা সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছিলাম।’
দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘যদি আমরা মনে করি জিতে গেছি, তবে বিরাট ভুল হবে। যারা ফায়দা নিতে চায়, তারা বিভিন্নভাবে কাজ করছে। তাই আরও সজাগ থাকতে হবে।’
ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন, ভাসানী জনশক্তি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু ইউসুফ সেলিম ও প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available