ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার জাতীয় জাগরণের কবি গোলাম মোস্তফার জন্ম ও মৃত্যুদিবস উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বাংলা সাহিত্যে কবি গোলাম মোস্তফার অবদান শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১৪ নভেম্বর শুক্রবার বিকাল ৪টায় শৈলকূপা উপজেলার মনোহরপুর গ্রামে কবি গোলাম মোস্তফার পৈতৃক ভিটায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।


ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক রথীন্দ্র নাথ রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, রাজউকের সদস্য ও যুগ্ম সচিব মো. গিয়াস উদ্দিন, শৈলকূপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্নিগ্ধা দাস।
জাতীয় সংগীত, কুরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের মধ্যদিয়ে আলোচনা সভা শুরু হয়। পরে আগত অতিথিদের উত্তরীয় ও ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। কবি গোলাম মোস্তফার স্মরণে অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, লেখক ও কবি ফিরোজ খান নূন।
আলোচনা সভায় বক্তারা কবি গোলাম মোস্তফার জীবন, দর্শন, সৃষ্টিকর্ম ও জাতীয় জীবনে অবদান বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, কবি গোলাম মোস্তফা জাতীয় জাগরণের কবি। তার লেখা কাব্যগ্রন্থ ও লেখনীতে বাঙালি মুসলমানের জীবনদর্শন, চেতনা ও সংগ্রামের চিত্র ফুটে উঠেছে। কবি গোলাম মোস্তফার সৃষ্টিকর্ম চর্চার মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ তাদের সংগ্রাম, অধিকার, ঐতিহ্য ও সাম্যবাদী চেতনা সমুন্নত রাখতে পারবে।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব মিয়া মোশাররফ হোসেন ও কবি গোলাম মোস্তফার সন্তান বরেণ্য চিত্রশিল্পী মোস্তফা মনোয়ারকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available