নিজস্ব প্রতিবেদক: জুলাই আন্দোলনে ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলাসহ ৫ মামলায় জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক।
২০ অক্টোবর সোমবার বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে মামলাগুলো শুনানির জন্য কার্যতালিকায় রয়েছে।
এর আগে রোববার (১৯ অক্টোবর) সাবেক এই প্রধান বিচারপতির আইনজীবী আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় ৫ মামলায় তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
হত্যা মামলার জামিন চেয়ে করা আবেদনে বলা হয়, যে তারিখে হত্যার ঘটনা দেখানো হয়েছে, সেদিন পর্যন্ত সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। আর এই পদে থাকাবস্থায় তিনি পুলিশ প্রোটোকল ছাড়া কোথাও যাননি। পুলিশের মুভমেন্ট ডায়েরি অনুযায়ী তিনি সেদিন বাড়িতে ছিলেন।
অন্যদিকে দুর্নীতির মামলার জামিন আবেদনে উল্লেখ করা হয়, সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের বিরুদ্ধে মামলায় রাজউকের পূর্বাচল প্লটের জন্য সময়মতো কিস্তি না দিয়ে ৪ লাখ ৭৪ হাজার ২৩০ টাকা সুদ মওকুফের অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে তিনি সুদ মওকুফের জন্য আবেদন করেননি। এছাড়াও সুদ মওকুফ আইনি বিষয়, এটি ফৌজদারি অপরাধ নয়।
গত ২৪ জুলাই রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে জুলাই আন্দোলনের সময় ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বেআইনি রায় দেওয়া ও জাল রায় তৈরির অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের একটি মামলায়ও খায়রুল হককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গত বছরের ২৫ আগস্ট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল বারী ভূঁইয়া বাদী হয়ে মামলাটি করেন। পরে আরো মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এর আগে গত ১১ আগস্ট হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চে জুলাই আন্দোলনে ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের জামিন ও মামলা বাতিল আবেদনের শুনানিতে আওয়ামীপন্থি এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available