নওগাঁ প্রতিনিধি : উত্তরের জেলাগুলোতে জেকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশার সাথে বইছে মৃদু বাতাস। কুয়াশায় পথ ঘাট ঢাকা পড়েছে। যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। নিম্নচাপের মতো কুয়াশা ঝিরঝির করে ঝরে পড়ছে। এমন অবস্থা নওগাঁয়। মৌসুমের শেষে এসে শীত চোখ রাঙাচ্ছে। বৃস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার শহরতলী বরুনকান্দি ও বক্তারপুর এলাকার এমন অবস্থা।

জেলার বদলগাছী উপজেলা আবহাওয়া অফিস তথ্যমতে- সকাল ৬টায় সর্বোনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা গতকাল ছিলে ১২ দশমিক ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস।


গত ৪দিন থেকে ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রী থেকে ১৩ ডিগ্রী সেলসিয়াসের ঘরে তাপমাত্রা উঠানামা করছে। দুপুর পর সূর্যের দেখা মিললেও একেবারে নিরুতাপ। বিকেলের দিকে সূর্য অস্ত যাওয়ার পর থেকে পর থেকে হালকা বাতাসে শীত অনুভূত হয়। সাথে ঘন কুয়াশায় পথ ঘাট ঢাকা পড়ে প্রকৃতি। যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
প্রচন্ড শীতে মানুষ সকালে ঘর থেকে বের হতে পারছে না। পথঘাট অনেকটা ফাঁকা। আয়ে ভাটা পড়েছে শ্রমজীবী মানুষের। তবে শহরের তুলনায় গ্রামে শীত একটু বেশি অনুভুব হচ্ছে। সকালে শীতের পোশাক গায়ে জড়িয়ে কাজে বের হতে হচ্ছে শ্রমজীবীদের। আবহাওয়া পরিবর্তনে সর্দি, কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। মানুষের সাথে পশুপাখিও কষ্ট পাচ্ছে।
অটোরিকশা চালক ফয়সাল হোসেন বলেন, প্রচন্ড শীত পড়েছে। গত কয়েকদিন থেকে সকালে রিকশা নিয়ে বের হওয়া যাচ্ছে না। ঠান্ডায় সকাল ৯ টার পর বাড়ি থেকে বের হতে হচ্ছে। কয়েকদিন আগেও ৮০০-৯০০ টাকা আয় হতো। এখন ৫০০-৬০০ টাকা আয় হচ্ছে।
নওগাঁ সদর উপজেলার বক্তারপুর গ্রামের বয়জৈষ্ঠ্য লুৎফর রহমান বলেন, বোরো আবাদের জন্য ধানের বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। এভাবে শীত ও কুয়াশা চলতে থাকলে চারা পচে নষ্ট হয়ে যাবে। আর সকালেও বাড়ি থেকে বের হওয়া যায় না। শীতে হা-পা জড়ো হয়ে আসে। আর কুয়াশা তো বৃষ্টির মতো ঝরে পড়ছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available