• ঢাকা
  • |
  • বুধবার ৫ই ভাদ্র ১৪৩২ দুপুর ০১:৫৯:২৬ (20-Aug-2025)
  • - ৩৩° সে:

ক্যাম্পাস

গত বছরের তুলনায় ২ কোটি টাকা কমেছে হাবিপ্রবির বাজেট

২০ আগস্ট ২০২৫ দুপুর ১২:১৭:৪৩

সংবাদ ছবি

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি: ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) জন্য মোট ১৩১ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকার বাজেট অনুমোদন করেছে ইউজিসি। তবে এ বাজেটে বড় কোনো ধরনের সংস্কার বা মৌলিক উন্নয়ন ভিত্তিক কোনো পরিকল্পনা দেখা যায়নি ।

গবেষণা খাত, স্বাস্থ্য খাতসসহ শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি খাত একেবারেই অবহেলিত থাকতে দেখা গেছে।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে ইউজিসি দিবে ১২২ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় থেকে আসবে ৯ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা।

গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট অনুযায়ী হাবিপ্রবির মোট বাজেট ছিল ১৩৪ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা। চলতি বছরের বাজেট তার তুলনায় প্রায় ২ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা কম ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বাজেটের সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখা হয়েছে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও পেনশন খাতে। এ খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৩ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা, যা মোট বাজেটের ৬৩.১৭ শতাংশ। এর মধ্যে বেতন-ভাতা বাবদ ৭৮ কোটি ৪৩ লক্ষ এবং পেনশন ও গ্র্যাচুইটি বাবদ ৪ কোটি ৯৪ লক্ষ টাকা।

গবেষণা ও উদ্ভাবন খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা, যা মোট বাজেটের ৩.২৮ শতাংশ। এর মধ্যে গবেষণা বাবদ ৪ কোটি ৩০ লক্ষ এবং উদ্ভাবন বাবদ মাত্র ৩ লক্ষ টাকা। প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের অগ্রগতির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এই বরাদ্দকে অপ্রতুল বলেই মনে করছেন শিক্ষার্থীরা।

তবে বাজেটের আলোচনায় সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন উঠেছে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা সহায়তা খাতের বরাদ্দ নিয়ে। হাবিপ্রবিতে বর্তমানে ১১ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। অথচ, তাদের জন্য বাৎসরিক স্বাস্থ্যসেবায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে মাত্র ৬ লক্ষ টাকা, যা মোট বাজেটের ০.০৪৫ শতাংশ। যদিও গত বছরের সংশোধিত বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৫ লক্ষ টাকা, চলতি বছরে তা ১ লক্ষ টাকা বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের মতে, এই সামান্য বৃদ্ধি প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত কম এবং এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবসম্পদ উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকারকে উপেক্ষা করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, ক্যাম্পাসে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা সীমিত। যেখানে যানবাহন খাতে বরাদ্দ ৪ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা, সেখানে আমাদের স্বাস্থ্যসেবায় মাত্র ৬ লক্ষ টাকা, এটা কি আমাদের অগ্রাধিকার নয়?

অন্যদিকে, পণ্য ও সেবা (সাধারণ ও রক্ষণাবেক্ষণ) খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪ কোটি ৫ লক্ষ টাকা, যন্ত্রপাতি অনুদান খাতে বরাদ্দ রয়েছে ২ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা, যানবাহন বাবদ ৪ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অনুদান বাবদ ৯০ লক্ষ টাকা এবং অন্যান্য মূলধন অনুদান বাবদ বরাদ্দ রয়েছে ৭০ লক্ষ টাকা। এছাড়াও অন্যান্য অনুদান বাবদ বরাদ্দ রয়েছে ১ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘আমরা বাজেট যেভাবে যেমন বাজেট চাই সেরকম আসলে পাই না। এবছর আমরা বাজেট চেয়েছিলাম প্রায় ১৬৯ কোটি টাকার, এর প্রেক্ষিতে ইউজিসি থেকে পেয়েছি ১৩২ কোটি টাকার বাজেট। তবে আমরা আশাবাদী, সামনে সংশোধিত বাজেটে এটা আরও বাড়বে। বাজেট বরাদ্দের ক্ষেত্রে ইউজিসির নির্দেশনা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়-ব্যয়ের ভারসাম্য বিবেচনায় নেওয়া হয়।’

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ