কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি : রংপুরের কাউনিয়ায় নিখোঁজের একদিন পর প্রতিবেশীর রান্না ঘরের পিছন থেকে মাটি খুঁড়ে কৃষকদল নেতা মোবারক আলীর (৩৫) গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
২৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাতে উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়নের উত্তর বিশ্বনাথ গ্রাম থেকে মোবারকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মোবারক আলী উপজেলার বিশ্বনাথ গ্রামের মৃত ইব্রাহীমের ছেলে এবং টেপামধুপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক।
২৭ সেপ্টেম্বর শনিবার ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ শাহ ।
নিহতের স্বজন, প্রতিবেশী ও মামলার বরাত দিয়ে তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৯ টার দিকে স্থানীয় বাজারে কেনাকাটা করে বাড়ী ফেরার পথে নিখোঁজ হন মোবারক। স্বজনরা অনেক খোঁজাখুঁজির পর ধান খেতে মোবারকের লাইট ও ফোন পাওয়া গেলেও তার সন্ধান পায় না।
এ ব্যাপারে শুক্রবার থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি হয়। ওইদিন রাতে স্বজনরা প্রতিবেশীদের সহগযোগিতায় প্রতিবেশী মমিনুলসহ এলাকায় আবারও খোঁজাখুঁজি শুরু করে। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে মমিনুলের বাড়ীর রান্না ঘরের পেছনে নতুন গাছ লাগানো আলগা মাটিতে দেখতে পেয়ে সেখানে অল্প মাটি সরিয়ে মোবারকের মরদেহ দেখতে পায় লোকজন।
এসময় কৌশলে মমিনুল পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে রান্না ঘরের পিছনে মাটি খুড়ে মোবারকের মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করা হয়। উদ্ধার হওয়া মরদেহের শরীরে মাথা ও পিঠের ধারালো অস্ত্রের গভীর কাটা ক্ষত এবং মুখের ডান চোয়াল থেকে গলার পিছনের অংশ ও গলার বাম পাশের অর্ধেক গভীর কাটাসহ বিভিন্ন স্থানে জখম ছিল। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, মরদেহ উদ্ধারের পর উত্তেজিত লোকজন হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে রাতেই বিশ্বনাথ গ্রামে মমিনুলের বসতবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় ।
মোবারকের মা মমেনা খাতুন বলেন, তার ছেলে এলাকায় সবার সঙ্গে মিশতো। পূর্ব বিরোধের জের ধরে পরিকল্পিতভাবে তার ছেলেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিবেশী মমিনুল তার সহযোগীরা। তার ছেলের হত্যাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ শাহ বলেন, এ ব্যাপারে মোবারকের মা বাদী হয়ে সাত জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিশ্বনাথ গ্রামের কোমল বৈরাগী ফকিরের ছেলে নজরুল ইসলামকে (৪০) গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বলেন, মামলার প্রধান আসামিসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available