সাইদুর রহমান, মিরপুর প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভর্তি হওয়া অজ্ঞাতনামা এক বৃদ্ধা নারীর মরদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মৃত্যুর ঘটনাটি ঘিরে নানা প্রশ্ন ও রহস্য দানা বাঁধছে।
জানা যায়, গত ২ আগস্ট রাত আনুমানিক ৮টা ৩০ মিনিটে, কে বা কারা অজ্ঞাত পরিচয়ের এক বৃদ্ধা মহিলাকে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়ে যায়। তার বয়স আনুমানিক ৬৫ বছর। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় তাকে মিরপুর হাইওয়ে রোড সংলগ্ন সাবেক এমপি কামারুল আরেফিনের বাড়ির পাশের একটি ময়লার স্তূপের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখে কেউ হাসপাতালে নিয়ে আসে।
বৃদ্ধাটির পরিচয়, নাম বা ঠিকানা জানা যায়নি। তার কোনো আত্মীয়স্বজন বা পরিচিত কেউও হাসপাতালে আসেনি। ফলে পুরো সময়ই তাকে নিঃসঙ্গ অবস্থায় চিকিৎসা নিতে হয়েছে বলে জানা যায়।
আজ ৬ আগস্ট সকালে, হাসপাতালের পশ্চিম পাশে প্রাচীরের সঙ্গে পানির মধ্যে ওই বৃদ্ধা নারীর নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পরে পুলিশে খবর দিলে, মিরপুর থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। মৃতদেহের শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল এবং পাশে পড়ে ছিল একটি হাত গ্লোবস ও একটি চশমা—যার কোনোটিই বৃদ্ধা নারীর ব্যবহারের ছিল না বলে জানা গেছে।
হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই করতে গিয়ে জানা যায়, গত চার মাসের কোনো ফুটেজই সংরক্ষিত নেই। কেন ফুটেজ নেই, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার ত্রুটি নিয়েও আলোচনা চলছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে এবং ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ ও রহস্য উদ্ঘাটনে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
স্থানীয়দের মতে, একটি অসহায় নারী যিনি হাসপাতালের নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যেও নিরাপদ ছিলেন না, তার এমন মৃত্যু গভীর উদ্বেগের বিষয়। তারা দ্রুত এই ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের দাবি জানান।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, মৃত নারীর পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available