• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ২২শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১ দুপুর ০১:০২:২৮ (06-Dec-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ২২শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১ দুপুর ০১:০২:২৮ (06-Dec-2024)
  • - ৩৩° সে:

পৌরসভা

নাঙ্গলকোট পৌরসভা: সড়কের পাশে ময়লার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ জনজীবন

২৮ নভেম্বর ২০২৪ রাত ০৮:৩৪:৪৮

নাঙ্গলকোট পৌরসভা: সড়কের পাশে ময়লার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ জনজীবন

নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি: কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে পৌর শহরের মূল সড়ক ও রেললাইনের দুই নাম্বার রেলগেটের পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত। ব্যস্ত সড়কের দুইপাশে প্রতিনিয়ত আবর্জনা ফেলায় দুর্ভোগ দিন দিন বাড়ছে।

স্থানীয় মানুষদের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে এর প্রতিকার চেয়েও মিলছে না। আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে আকার আয়তন।

আশে-পাশের বসত বাড়ি ঘরের ও পথচারীদের কয়েকজন ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নাঙ্গলকোট প্রথম শ্রেণির পৌরসভা। পৌর শহরে নাগরিক সুবিধা নেই বললেই চলে। শহরে পরিচ্ছন্নতা চোখে পড়ে না। এ অবস্থায় বসত বাড়িতে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পচা দুর্গন্ধে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন শিশু থেকে বৃদ্ধ। পৌর সদরের যত আবর্জনার এখানে এনে ফেলছে।

পথচারী ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলেন, সড়কের দুইপাশ ও ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনের সংলগ্ন স্থানে প্রতিনিয়ত পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা থেকে ময়লা নিয়ে এসে বিশাল স্তূপ করা হয়েছে। এতে স্কুলপড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীসহ পথচারীদের মুখ চেপে ধরে চলাফেরা করতে হচ্ছে। এরই পাশে পদ্মা হাসপাতাল রয়েছে। রোগীরা সেবা নিতে এসে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

নাঙ্গলকোট পৌরসভার বসবাসকারী স্থানীয়রা বলেন, নানান প্রয়োজনে তাদের প্রতিনিয়ত এই রাস্তায় আসা-যাওয়া করতে হয়। তার পাশে রয়েছে পদ্মা হাসপাতাল, প্রতিনিয়ত এই রাস্তা দিয়ে হাসপাতালে রোগী নিয়ে আসতে হয়। কিন্তু ময়লার দুর্গন্ধে হাসপাতালের রোগীরা আরও বেশি অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় পৌরসভায় স্বাভাবিক যাতায়াত করা কারও পক্ষে সম্ভব নয়। ময়লার আবর্জনার স্তূপটি থেকে বের হওয়া দুর্গন্ধ চারপাশের অনেকদূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।

পৌর শহরের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাইরিন বলেন, আমরা বিদ্যালয়ে এই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দুর্গন্ধে আমাদের পেট ফুলে ওঠে। অন্য সড়ক দিয়ে যেতে চাইলেও যান-জটের জন্য ক্লাসে যেতে দেরি হয়। তাই এই পথ দিয়ে যেতে হয়। প্রতিদিন দ্রুত এই সমস্যা থেকে বাঁচতে আমরা সকলে সহযোগিতা চাচ্ছি।

জানা পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীর সংখ্যা ১৪ জন। খোলা জায়গায় আবর্জনা ফেলছেন ওই পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরাও আবর্জনা ফেলে আসছেন না বলে জানা জায়।

পৌর সচিব হারুনর রশিদ বলেন, পৌরসভার তেমন কোনো আয় না থাকায় এবং  ময়লা ফেলার সরকারি কোনো নির্দিষ্ট জায়গা নেই। এর জন্য প্রয়োজনীয় সরকারি কোনো বরাদ্দও নেই। ডাম্পিংয়ের জন্য জায়গা কিনতে অনেক টাকার প্রয়োজন। মূলত আবর্জনা সরানোর স্থায়ী জায়গা না থাকায় সমস্যাটি বড় হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সরকারিভাবে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পেলে আবর্জনা সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেবেন।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ




দিনাজপুরে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ২০
৬ ডিসেম্বর ২০২৪ দুপুর ১২:১৬:৩৬