ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার বড় গোপালদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী তামিম তালুকদারের মরদেহ নিখোঁজের তিন দিন পরে উদ্ধার করেছে মধুখালী থানা পুলিশ। এর আগে ১৫ আগষ্ট তারিখে সে নিখোঁজ হয়। পুলিশ জানিয়েছে মুক্তিপণ আদায়ের লক্ষ্যে পরিকল্পিতভাবেই তাকে অপহরণ করা হয়েছিলো।
জানা গেছে, গত ১৫ আগস্ট ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার বর গোপালদী গ্রামের সৌদি প্রবাসীর শামীম তালুকদারের পুত্র ১১ বছরের কিশোর, বড় গোপালদী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী তামিম তালুকদার নিখোঁজ হয়। ওই দিন রাতেই পরিবারের কাছে ফোন দিয়ে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দেয়া হলে পুলিশ ১৮ আগস্ট তুহিন শেখ নামে এক যুবককে আটক করে। পরে তার দেয়া তথ্য মতে ওইদিন রাতেই একই উপজেলার কোরকদী ইউনিয়নের বাঁশপুর এলাকার একটি জমির আইলে আবর্জনা দিয়ে ঢেকে রাখা অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতার অভিযোগে আরও একজনকে আটক করে পুলিশ।
সন্তানকে হারিয়ে শোকাহত পরিবারসহ পুরো এলাকার মানুষ। শিশুটির পরিবারের সদস্যরা জানান, নিখোঁজের পরই ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিলো। টাকা দিতেও চেয়েছিল পরিবার, তারপরও শেষ রক্ষা হয়নি। এমন নির্মম হত্যাকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা মনে করেন, এমন ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক বিচার না হলে সমাজে বাড়বে অপরাধ।
আর পুলিশ বলছে ঘটনাটি ছিল পরিকল্পিত। মুক্তিপণ আদায়ের দাবিতেই অপহরণ করা হয়েছিল শিশুটিকে। মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম নুরুজ্জামান জানান, পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত তুহিন শেখ কে আটক করে। পরে তার দেয়া স্বীকারোক্তি মোতাবেক মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি জানান, তদন্ত করে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত সকলকেই আইনের আওতায় আনা হবে।
তিনি আরও জানান এই চক্রটি আরও কোনো ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে কিনা তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
পুলিশ আটক দুইজনকে সাত দিনের রিমান্ডে মঙ্গলবার আদালতে পাঠিয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available