আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশটির উত্তরাঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্টি হওয়া আকস্মিক বন্যায় গত ৪৮ ঘণ্টায় ৩৪৪ জনের মৃত্যুর পর উদ্ধারকর্মীরা এখন কাদায় চাপা পড়া মৃতদেহ উদ্ধারে হিমশিম খাচ্ছেন। খবর বার্তা সংস্থা এএফপির।
এদিকে, সাম্প্রতিক আকস্মিক বন্যায় দেশটির খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩২৭ জনে দাঁড়িয়েছে। ১৬ আগস্ট শনিবার প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (পিডিএমএ) এই তথ্য জানিয়েছে। বিভিন্ন জেলায় নতুন করে আরও মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। খবর পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডনের।
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের পাশাপাশি এই ভয়াবহ বন্যায় গিলগিট-বালতিস্তানে অন্তত ১২ জন, আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরে ৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। গতকাল ভারি বৃষ্টিপাত ও মেঘ ভাঙা বৃষ্টির (ক্লাউড বার্স্ট) কারণে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বিভিন্ন জেলায় আকস্মিক বন্যায় এক দিনেই ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হন। এর মধ্যে মহমান্দে ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযানে প্রাদেশিক সরকারের একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হলে পাঁচ উদ্ধারকর্মীও নিহত হন।
পিডিএমএর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ৪৮ ঘণ্টায় প্রদেশটির বুনার জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে ২০৪ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। একইসঙ্গে জেলাটিতে আরও ১২০ জন আহত এবং ৫০ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
পিডিএমএর অপর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, খাইবার পাখতুনখোয়ার শাংলায় ৩৬ জন, মনসেরায় ২৩ জন, সোয়াতে ২২ জন, বাজাওরে ২১ জন, বাট্টাগ্রামে ১৫ জন ও লোয়ার দিরে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া অ্যাবোটাবাদে এক শিশু পানিতে ডুবে মারা গেছে।
বন্যায় অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১১টি বাড়ি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং ৬৩টি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সোয়াতে দুটি এবং শাংলায় একটি স্কুলও বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
খাইবার পাখতুনখোয়া প্রাদেশিক সরকার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বুনের, বাজাউর, সোয়াত, শাংলা, মনসেরা, তোরঘর, আপার ও লোয়ার দির এবং বাট্টাগ্রাম জেলাগুলিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available