শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানায় মাসিক ভোজের আয়োজন করে পুলিশ। আর সেই ভোজে অংশ নেয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের এক নেতা। এ ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে।
থানা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানায় মাসিক ভোজের আয়োজন করে পুলিশ। ওই অনুষ্ঠানে থানা পুলিশ সদস্য, জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন নাওডোবা ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক হাজী আলমগীর হোসেন সরদার, যুবলীগের সভাপতি মোক্তার বেপারীসহ অন্যান্যরা। থানার মধ্যে পুলিশের আয়োজিত অনুষ্ঠানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া সংগঠনের নেতার উপস্থিত হওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে আলোচনা সমালোচনা।
এ ব্যাপারে নাওডোবা ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক হাজী আলমগীর হোসেন সরদার বলেন, ওসি তো নিজেই জানেন ওনি (মোক্তার বেপারি) যুবলীগ নেতা। তাহলে ওনি জেনেশুনে কেন তাকে দাওয়াত দিয়েছে? আমার কিছু করার ছিলো না, আমাকে ওসি দাওয়াত দিয়েছে তাই গিয়েছি। আর মোক্তার বেপারী আমাদের বাজার কমিটির সভাপতি আর আমি একজন ব্যবসায়ী মাত্র।
অভিযোগ ওঠার পরও দায় এড়ানোর চেষ্টা করেন পদ্মাসেতু দক্ষিণ থানার ওসি পারভেজ আহমেদ সেলিম। তিনি বলেন, আমরা থানা থেকে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলাম। সেখানে আমাদের পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি সার্কেল স্যার ছিলেন। আমি ওনাকে (মোক্তার বেপারী) চিনতাম না। পরে শুনেছি ওনি উপস্থিত ছিলেন। আমি জানলে ওনাকে এলাউ করতাম না।
তবে স্থানীয়দের দাবি, ওসির আয়োজনে ভোজসভায় কারা বসবে তা তিনি জানেন না, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। ওসির সরাসরি ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত ভোজসভায় নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতার উপস্থিতি শুধু পুলিশের ভাবমূর্তিই প্রশ্নবিদ্ধ করছে না, বরং থানার শীর্ষ কর্মকর্তার নিরপেক্ষতা নিয়েও জনগণের মনে গুরুতর সংশয় তৈরি করেছে।
এ ব্যাপারে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) ড. আশিক মাহমুদ বলেন, ভোজসভায় যুবলীগের নেতা উপস্থিত ছিলেন, সেটা আমি জানতাম না। বিষয়টি আমি ওসির সাথে কথা বলে দেখছি। যদি এমন হয়ে থাকে আমি খতিয়ে দেখব।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available