মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের মধুপুরে ৯০টি করাত কলের ৭৩টির লাইসেন্স নেই। নেই কোনো বৈধ কাগজপত্র। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে চলা এসব করাত কলে বন বিভাগ ও প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট ও অভিযান অব্যাহত ভাবে চলছে। জরিমানা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।
মধুপুর রেঞ্জ কর্মকর্তার সূত্রে জানা গেছে, মধুপুর উপজেলায় মোট ৯০টি করাত কল রয়েছে। এর মধ্যে ১৭টি লাইসেন্স রয়েছে। বাকি ৭৩টির কোনো লাইসেন্স নেই। এর মধ্যে মধুপুর পৌরসভায় রয়েছে ১১টি। যার মধ্যে ৩টির লাইসেন্স রয়েছে। বাকি ৮টির লাইসেন্স নেই। মোট ৯০টির মধ্যে ৭৩টি করাত কল চলছে লাইসেন্স বিহীন।
সূত্র আরো জানায়, বন এরিয়ার ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো করাত কল স্থাপন করার নিয়ম না থাকলেও অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে করাত কল। নিয়ম নীতি না মানা এসব করাত কলের বিরুদ্ধে প্রশাসন মোবাইল কোর্ট ও অভিযান করে যাচ্ছে।
স্থানীয়দের ধারণা এসব অবৈধভাবে করা করাত কলের কারণে মধুপুর বন ও বন এরিয়ার ক্ষতি হচ্ছে। নিয়ম না মেনে কাঠ চেরাই করার ফলে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। পরিবেশ তার ভারসাম্য হারাচ্ছে।
মধুপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, তাদের তালিকায় ৯০টির মধ্যে ৭৩টির কোন লাইসেন্স নেই। এর মধ্যে পৌর শহরের মধ্যে ১১টির মাত্র ৩টি করাত কলের লাইসেন্স রয়েছে। এর মধ্যে কিছু করাত কলের আবেদন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
বন এরিয়ার ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো করাত কল স্থাপনের বিধান না থাকলেও অবৈধভাবে গড়ে উঠা করাত কলের বিরুদ্ধে তাদের নিয়মিত অভিযান চলছে। গত মাসেও তারা ৭টি মামলা দিয়েছে। এগুলো কোর্টে চলে গেছে। গেল বুধবার করা অভিযানে ৪টি করাত কলে মোবাইল কোর্ট করে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
তাদের এ অব্যাহত অভিযানে অবৈধভাবে করা করাত কল উচ্ছেদ করা হবে বলেও তিনি জানান। তার কার্যালয়ে জব্দ করা অনেক করাত কলের যন্ত্রাংশও খুলে এনে রাখা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন।
মধুপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটি ম্যাজিস্ট্রেট রিফাত আনজুম পিয়া বলেন, ২৭ আগস্ট মধুপুর পৌরসভার বিভিন্ন করাতকলে অভিযানে যাওয়া হয়। এ সময় লাইসেন্স না থাকার কারণে ৪টি করাতকলের মালিককে মোট ৪০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। তাদের এ অভিযান চলমান বলে তিনি জানান।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন মধুপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটি ম্যাজিস্ট্রেট রিফাত আনজুম পিয়া। বনবিভাগের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সহকারী বন সংরক্ষক আশিকুর রহমান ও রেঞ্জ অফিসার সাইফুল ইসলামসহ এসআই আরিফের নেতৃত্বে মধুপুর থানার একটি দল।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available