নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০০৬ সালের এই দিনে উন্মুক্ত কয়লা খনি বন্ধের আন্দোলনে প্রাণ হারান তিনজন এবং আহত হন ২00 শ্রমিক।
এই দিনে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা খনি প্রকল্প বাতিল ,জাতীয় সম্পদ রক্ষা এবং বিদেশী কোম্পানি এশিয়া এনার্জিকে ফুলবাড়ী থেকে প্রত্যাহারের দাবীতে বিক্ষোভ করে আসছিলেন স্থানীয়রা। সেদিন বিক্ষোভ কারীদের উপর পুলিশ ও বিডিআর নির্বিচারে গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই নিহত হন আমিন ,সালেকিন ও তরিকুল। আহত হন প্রায় ২০০ মানুষ। সে সময় আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে তৎকালীন বিএনপি তথা চার দলীয় জোট সরকার উন্মুক্ত কয়লা চুক্তি বাতিল ও ছয় দফা চুক্তি করলেও তা আজও বাস্তবায়িত হয়নি।
সেই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করা বাবুল রায় বলেন, সেদিনের আন্দোলনে আমার পায়ে গুলি লাগলে আমার জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। আজ ১৯ বছর ধরে আমি শয্যাসায়ী। তবুও আমার দুঃখ থাকবে না যদি বর্তমান সরকার ছয় দফা দাবি বাস্তবায়িত করে।
আন্দোলনে নিহত তরিকুলের বাবা সাবেক পৌর কাউন্সিলর জনাব মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, আমার সন্তানের আত্মা সেদিনে শান্তি পাবে যেদিন ছয় দফা দাবি বাস্তবায়িত হবে।
উপজেলার জাতীয় তেল, গ্যাস, খনি সম্পদ রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব সাবেক পৌর কাউন্সিলর জনাব শ্রী জয়প্রকাশ বলেন, ছয় দফা চুক্তি বাস্তবায়ন না হলে আমরা আন্দোলনে আবার যাবো।
সেদিনের আন্দোলনে হামলা ও মামলার স্বীকার তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ রক্ষা কমিটির নেতা জনাব এস এম নুরুজ্জামান বলেন, আমরা রক্ত দিয়েছি প্রয়োজনে আরও রক্ত দিব তবু ও এই ফুলবাড়ীর মাটিতে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা তুলতে দিব না।
তেল ,গ্যাস ,খনিজ সম্পদ, বিদ্যুৎ রক্ষা জাতীয় কমিটি এই দিনটিকে জাতীয় সম্পদ রক্ষা দিবস ও ফুলবাড়ী বাসীর পক্ষ থেকে ফুলবাড়ী শোক দিবস হিসেবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে থাকে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available