নিজস্ব প্রতিবেদক: শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) ট্রাস্ট অসহায় ও দুস্থ মানুষের সেবায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে’ বলে জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন।
২৬ জুলাই শনিবার শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) ট্রাস্ট এর উদ্যোগে ট্রাস্টের নিজস্ব মিলনায়তনে বিভিন্ন খাতে সহায়তাপ্রাপ্ত ৪৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে চেক প্রদান করা হয়।
ট্রাস্টের প্রশাসনিক ও সমন্বয় কর্মকর্তা তানভীর হোসাইনের সঞ্চালনায় ও এস জেড এইচ এম ট্রাস্টের সচিব অধ্যাপক এ ওয়াই এমডি জাফর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত চেক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন, বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পর্ষদের সদস্য ও বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. সাইফুদ্দিন মাহমুদ মাসুদ, মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান আশরাফ, মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট রেজাউর নূর সিদ্দিকী, মোহাম্মদ গোলাম হোসেন, ডা. সামিউল করিমসহ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বলেন, শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) ট্রাস্ট অসহায় ও দুস্থ মানুষের সেবায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ ডায়ালাইসিস ইউনিটের জন্য ৩টি অত্যাধুনিক ডায়ালাইসিস মেশিন প্রদান করায় গড়ে ১৫ জন রোগী বিনামূল্যে ডায়ালাইসিস সেবা গ্রহণ করতে পারছেন।
ট্রাস্টের মাধ্যমে এতিম ও অনাথ শিশুদের জন্য আবাসন ও শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে, দরিদ্র পরিবারের মেয়েদের বিয়েতে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে এবং নানা রকম মানবিক ও সামাজিক উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পক্ষ থেকে শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) ট্রাস্টকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।”
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেন, শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্ট একাধিক খাতে বিশেষ করে শিক্ষা, চিকিৎসা, কর্মসংস্থান এবং জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এই ট্রাস্টের প্রতিটি উদ্যোগ সমাজের অবহেলিত মানুষদের জীবনে আলোর দিশা এনে দিচ্ছে। একবিংশ শতাব্দীতে এ ধরনের মানবিক সহায়তা দেশের সার্বিক উন্নয়ন এবং রাষ্ট্র পরিচালনার সামাজিক অংশীদারিত্বের একটি আদর্শ মডেল হিসেবে কাজ করছে।
অনুষ্ঠানে মসজিদ নির্মাণে সহায়তা, ১১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা, ১টি প্রতিষ্ঠানকে সীমানা প্রাচীর নির্মাণে সহায়তা, ২জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি, ২জন অসুস্থ আলেমকে চিকিৎসা সহায়তা, জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত ৭জন ব্যক্তিকে চিকিৎসা সহায়তা, ৪জন ব্যক্তিকে আয় বর্ধক খাতে সহায়তা, ২জন ব্যক্তিকে ঋণ পরিশোধে সহায়তা, ৪জন ব্যক্তিকে বিদেশ যাত্রায় সহায়তা, ৪জনকে গৃহ নির্মাণে সহায়তা, ৮জন ব্যক্তিকে মেয়ের বিবাহে সহায়তাসহ ৪৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে মোট ৩৪ লাখ ২ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন মাওলানা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available