• ঢাকা
  • |
  • শনিবার ৫ই আশ্বিন ১৪৩২ রাত ০৯:১৯:৫৭ (20-Sep-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

যে তিন পানীয় ভালো রাখবে আপনার পেটের স্বাস্থ্য

লাইফস্টাইল ডেস্ক: পেটের স্বাস্থ্য ভালো থাকলেই ভালো থাকবে শরীর। কিন্তু সেই স্বাস্থ্য ভালো থাকবে কিভাবে, কোন খাবারে, তা অনেকেই জানেন না। এ বিষয়ে চিকিৎসকরা বার বার সাবধান করেন কার্বনেটেড পানীয় খাওয়া একেবারেই ভালো নয়। এতে বাড়তি চিনি থাকে। বাজারে কিংবা রাস্তার পাশে যেসব শরবতের দোকান রয়েছে, তাতে কৃত্রিম রং, চিনির ব্যবহারে শরবত সুস্বাদু হলেও তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।বাড়িতেও তৃষ্ণা মেটাতে কিংবা অতিথি আপ্যায়নে অনেকেই এমন শরবত বা পানীয় দেন। কিন্তু যদি পেটের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে হয়, তবে ভাবতে পারেন অন্যভাবেও। পুষ্টি শোষণে, হজম সহায়তা করে উপকারী ব্যাক্টেরিয়া। এমন ভালো ব্যাক্টেরিয়ায় সংখ্যা বৃদ্ধি করে প্রোবায়োটিক। এজন্য তৈরি করতে পারেন এমন পানীয় যা প্রোবায়োটিকে ভরপুর।গরমে শরীরকে সারাদিন চাঙ্গা রাখতে তৈরি করুন দুর্দান্ত স্বাদের ছাঁস। এটির লস্যি সাধারণত ঘন হয়। চিনির ব্যবহারের ফলে এতে ক্যালোরিও বেড়ে যায়। একে বাঙালির ঘোলও বলা যায়, তবে স্বাদে হয় নোনতা। প্রথমে টক দই খুব ভালো করে ফেটিয়ে পানি মিশিয়ে তা পাতলা করে নেওয়া হয়। তার মধ্যে দিতে হয় ভাজা জিরা গুঁড়ো, হিমালয়ান পিংক সল্ট, গোলমরিচ। উপর থেকে ছড়িয়ে দিতে পারেন কুচানো কাঁচালঙ্কা, শুকনো পুদিনা পাতা। টক দইয়ে থাকে ল্যাকটোব্যাসিলাস নামে ব্যাক্টেরিয়া, যা পেটের জন্য উপকারী।কালো গাজর বা বিট দিয়ে কাঞ্জি তৈরি হয়। এটি পেটের জন্য ভাল। স্বাদেও দারুণ। সাদা, কালো সরষে ও জিরা একটি মিক্সারে ঘুরিয়ে নিন। এর সঙ্গে যোগ করতে হবে স্বাদমতো হিমালয়ান পিংক সল্ট। সমস্ত উপকরণ মিশিয়ে স্বাভাবিক তাপমাত্রার এক লিটার পানি এতে যোগ করুন। পানি, সরষে মিশিয়ে একটি পরিষ্কার কাচের পাত্রে মিশ্রণটি ঢেলে ঢাকনা দিয়ে রেখে দিন।এবার ধুয়ে রাখা বিট কিংবা গাজর টুকরো করে কুচিয়ে মিশ্রণে ডুবিয়ে রাখুন। ঘরে বেশি আলো পড়ে না, এমন স্থানে মিশ্রণটি ২-৩ দিন রেখে দিন। গরম যত বেশি হবে পানি জমতে তত কম সময় লাগবে। টক স্বাদ এসে গেলে বুঝতে হবে কাঞ্জি প্রস্তুত হয়েছে। তবে যদি টক না হয়, আরও কয়েক ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। কাঞ্জি তৈরি হয়ে গেলে সেটি ফ্রিজে রাখুন, না হলে নষ্ট হয়ে যাবে।একটি কাচের পাত্রে আদা কুচি, চিনি ও পানি দিয়ে ঢাকনা আটকে দিন। পরে ২-৩ দিন জমতে দিন। আবার একটু আদা কুচি, চিনি যোগ করুন। আরও এক দিন জমতে দিন। তাহলেই তৈরি হবে প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ পানীয়।