আন্তর্জাতিক ডেস্ক: হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় একটি কার্গো প্লেন রানওয়ে থেকে ছিটকে সাগরে পড়ে গেছে। এ ঘটনায় বিমানবন্দরের দুইজন নিরাপত্তাকর্মী নিহত হয়েছেন।
২০ অক্টোবর সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
তবে দুর্ঘটনাকবলিত প্লেনে থাকা চার ক্রু সদস্য জীবিত রয়েছেন।
দেশটির দমকল বাহিনী জানিয়েছে, ঘটনার দুই মিনিটের মধ্যে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। উদ্ধারকারীরা বলছেন, বিমানটি দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেছে এবং এর একটি খণ্ড সমুদ্রের পানিতে ভাসছিল।
এমিরেটস ফ্লাইট ইকে ৯৭৮৮, বোয়িং ৭৪৭-৪৮১ মডেলের এ বিমানটি দুবাই থেকে হংকংয়ে এসেছিল। এটি তুরস্কের কার্গো এয়ারলাইন এয়ার এসিটির মালিকানাধীন।
বিমানটিতে থাকা চারজন ক্রুর সবাই বেঁচে আছেন। উদ্ধারের আগে তারা দরজা ভেঙ্গে বেরিয়ে এসেছিলেন। এরপর উদ্ধার কর্মীরা তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় সেখানকার আবহাওয়া ভালো ছিলো এবং এ ঘটনার কারণে অন্য কোন ফ্লাইট ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
স্থানীয় পুলিশ বিভাগের উদ্ধৃতি দিয়ে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, উড়োজাহাজটি অবতরণের পর রানওয়ের পাশে থাকা একটি বাহনে ধাক্কা দেয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
দুর্ঘটনার পর তোলা ছবিতে দেখা যায়, এয়ারএসিটি লিভারিযুক্ত একটি বোয়িং ৭৪৭ মালবাহী বিমান সাগরের পাড়ে আংশিকভাবে ডুবে আছে। উড়োজাহাজের সামনের ও পেছনের অংশ আলাদা হয়ে গেছে।
হংকংয়ের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অবতরণের পর উড়োজাহাজটি উত্তর রানওয়ে থেকে ছিটকে সাগরে পড়ে যায়। সে সময় দুজন স্থলকর্মী পানিতে পড়ে যান।
দুর্ঘটনার পর উত্তর রানওয়েটি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে বলেও জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে দক্ষিণ ও কেন্দ্রীয় রানওয়ে আপাতত চালু থাকবে।
বিবৃতিতে ওই কর্মীদের উল্লেখ না থাকলেও বলা হয়েছে, উড়োজাহাজের চার আরোহীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এমিরেটস এয়ারলাইন্সের বিবৃতিতে বলা হয়, সোমবার তাদের ইকেই৯৭৮৮ ফ্লাইটটি হংকংয়ে অবতরণের সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে সব আরোহী নিরাপদে আছেন এবং বিমানে কোনও মালামাল ছিল না। এটি ছিল একটি বোয়িং ৭৪৭ মালবাহী বিমান, যা তুরস্কভিত্তিক এসিটি এয়ারলাইন্স থেকে ভাড়া নেওয়া হয়েছিল।
ঘটনার পর পরিস্থিতি মোকাবেলায় হংকং বিমানবন্দরে ২১৩ জন দমকল কর্মী ও প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা কর্মকর্তাদের মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে, হংকং এয়ার এক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন অথরিটির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা সমুদ্র থেকে ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার ও ককপিট ভয়েস রেকর্ডার উদ্ধারের চেষ্টা করছেন। এগুলোই ব্ল্যাক বক্স হিসেবে পরিচিত।
"কখন ব্ল্যাক বক্স পাওয়া যাবে তার ওপরেই তদন্তের গতি নির্ভর করবে," বলেছেন তিনি।
প্রায় তিন দশক আগে ১৯৯৮ সালে হংকং বিমানবন্দর চালু হওয়ার পর এটি এ ধরনের দ্বিতীয় মারাত্মক দুর্ঘটনা।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available