ইবি প্রতিনিধি: ঝিনাইদহে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) পরিবহন পুলের এক বাসচালককে বহিরাগত কর্তৃক মারধরের ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আহত বাসচালক হলেন মাহফুজুর রহমান পল্টন।
১১ অক্টোবর শনিবার ঝিনাইদহ সদর থানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক এ মামলা দায়ের করেন। এতে অজ্ঞাতনামা ২০/৩০ জনকে আসামি করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১০ অক্টোবর শুক্রবার আনুমানিক রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব কুহেলিকা বাস (কুষ্টিয়া-স ১১-০০০২) ঝিনাইদহের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে আরাপপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন সৃজনী তেল পাম্পের সামনে পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা ২০/৩০ জন সন্ত্রাসী বাসের গতিরোধ করে। পরে এক ব্যক্তি দ্রুত বাসে উঠে ড্রাইভার মাহফুজুর রহমানকে এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পর ও কিলঘুষি মারতে থাকে। এরই মধ্যে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী বলতে থাকে যে, ‘শালা, তুই বাস নিয়ে আসলি কেন?’ এবং তাকে উপর্যপুরি চড়-থাপ্পড়, কিলঘুষি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। তাৎক্ষনিক স্থানীয় লোকজন ও হোটেল ব্যবসায়ীরা এগিয়ে আসলে ড্রাইভারকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিসহ পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন বাস নিয়ে ঝিনাইদহ শহরের দিকে আসলে বাস ভাংচুর করার এবং বাস আটকে দেয়ার হুমকি দিয়ে সন্ত্রাসীরা চলে যায়। পরে মাহফুজুর রহমানকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ভুক্তভোগী বাসচালক মাহফুজুর রহমান পল্টন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমি বাস নিয়ে ঝিনাইদহ রওনা দিয়েছিলাম। যাওয়ার সময় মাঝপথে অর্থাৎ আরাপপুরের তেল পাম্পের সামনে আমার বাস আটকানো হয়। পরে একটা ছেলে বাসে উঠেই আমাকে লাথি মারে। সঙ্গে সঙ্গে আশপাশ থেকে লোকজন এসে মারধর করে।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বাস হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে এবং অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামী করে একটি মামলা করা হয়েছে। পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ায় আগাচ্ছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক বলেন, ঝিনাইদহ থানায় মামলার আবেদন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তর এ বিষয়টি নিয়ে তদন্তের কাজ করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আব্দুর রউফ বলেন, আমরা অভিযোগ সাবমিট করেছি। আহত চালককে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছি। তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশনা আছে। কাজ শুরু করবো।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। যে বা যারা জড়িত থাকুক না কেন বিচারের আওতায় আনা হবে। ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে দেয়া হবে না।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available