খুলনা ব্যুরো: মাদক নিয়ন্ত্রণে হোমিওপ্যাথি ঔষধ ব্যবসায়ী, চিকিৎসক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ভূমিকা নিয়ে শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১ আগস্ট শুক্রবার সকালে খুলনা বিএমএ ভবনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
প্রখ্যাত হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক ও রোটারিয়ান ডা. সৈয়দ আবু সঈদের সভাপতিত্বে ও খুলনা হোমিওপ্যাথিক ঔষধ ব্যবসায়ী ও চিকিৎসক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. ফারুক হোসাইনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আহসানুর রহমান।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের খুলনা জেলা উপপরিচালক মো. মিজানুর রমান, বিভাগীয় কার্যালয়ের গোয়েন্দা প্রধান শেখ ইফতেখার মো. উমায়ের, খুলনা হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. এন. এম. শামিমুল ইসলাম, উপাধ্যক্ষ ডা. আনিসুর রহমান মিন্টু, খুলনা প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব রফিউল ইসলাম টুটুল ও দৈনিক কালের কণ্ঠের ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন।
এসময় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনা হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রভাষক ডা. জাকিরুল ইসলাম।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বিশিষ্ট হোমিও চিকিৎসক ডা. কাজী আব্দুল হান্নান, প্রভাষক ডা. খায়রুল আলম, খুলনা হোমিওপ্যাথি ঔষধ ব্যবসায়ী ও চিকিৎসক সমিতির সভাপতি ডা. মানিক লাল চন্দ্র, শিক্ষার্থী মোসা: খাদিজা আক্তার, ডা. দেলোয়ার হোসেন, ডা. রেজোয়ান হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ধর্মীয় চর্চা ও নৈতিক শিক্ষা বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে সমাজকে মাদকমুক্ত করা সম্ভব। বক্তারা বলেন, মাদকের ভয়াবহতা রোধে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। আইনের কঠোর বাস্তবায়নের পাশাপাশি পারিবারিকভাবেই মাদককে না বলার প্রবণতা জাগাতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, হোমিওপ্যাথির চিকিৎসার আড়ালে যারা মাদকের অপব্যবহার করছেন তার চিকিৎসক নামের কলঙ্ক। তারা চিকিৎসক নন, তারা মাদক ব্যবসায়ী। সুতরাং কোনো মাদক ব্যবসায়ীর সাথে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের সম্পর্ক থাকতে পারে না। যার ওপর যে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পেশাদারিত্বের সাথে বাস্তবায়ন করলে সমাজ থেকে মাদকসহ সকল প্রকার অনৈতিক কর্মকাণ্ড দূর হবে। এজন্য সকলকে নৈতিকতার সাথে ব্যবসা ও পেশাগত দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানানো হয়।
সেমিনারের মূল প্রবন্ধে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গকে মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীদের প্রশ্রয় না দেওয়া, মাদকের কেনা-বেচা বন্ধে বর্ডার সীল করা, সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাদক সেবন থেকে বিরত থাকা, মাদক নিরাময় কেন্দ্রগুলোকে মাদকমুক্ত করা, মাদকের সহজলভ্যতা কমাতে আইন প্রণয়ন ও এর কঠোর প্রয়োগ এবং মাদকের উৎপাদন বন্ধের সুপারিশ করা হয়।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available