স্টাফ রিপোর্টার, টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের বীরপুশিয়া নয়াপাড়া গ্রামে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণের শিকার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী শিমু আক্তার (১৩)। ঘটনার ২৫ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো তাকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিমুর পরিবার ও এলাকাবাসী।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ সেপ্টেম্বর রাত আটটার দিকে ঘর থেকে বের হলে ওত পেতে থাকা প্রধান আসামি বাঁধন (২৫) তার সহযোগীদের নিয়ে শিমুকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। অভিযুক্ত বাঁধন একই গ্রামের খন্দকার কামরুল ও বুলবুলি বেগমের ছেলে।
শিমুর বাবা মোহাম্মদ সেলিম মিয়া জানান, মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার পর বাঁধনের বাড়িতে গেলে তারা বাড়ি তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ফেসবুকে বাঁধনের আইডিতে শিমুর ছবি দেখে নিশ্চিত হন মেয়েকে সে অপহরণ করেছে।
শিমুর বাবা টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৭/৯(১)/৩০ ধারায় মামলা (নং-৩৮২/২৫) দায়ের করেন। কিন্তু দীর্ঘ ২৩ দিনেও মেয়েকে ফেরত না পেয়ে হতাশ পরিবার। বরং মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তারা নিয়মিত হুমকি পাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন।
স্থানীয়রা জানান, বাঁধন দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় বখাটে কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। আগেও তার কারণে এক কিশোরী আত্মহত্যা করেছিল। তবু পুলিশ তাকে গ্রেফতার বা শিমুকে উদ্ধারে তৎপর নয়।
টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি তানবীর আহমেদ বলেন, প্রাথমিকভাবে অভিযোগের পর তদন্ত শুরু হলেও মামলাটি এখন কোর্টে থাকায় দায়িত্ব কোর্টের ওপর।
তবে ডিবির এসআই নুরুজ্জামান জানান, আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি। মেয়েটিকে উদ্ধার করতে তৎপরতা অব্যাহত আছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available