নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রথমবারের মতো জাতীয় সমাবেশ করছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। শনিবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে জাতীয় সমাবেশের প্রথম পর্ব শুরু হয়েছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করছেন সাইফুল্লাহ মানসুর। সাইমুম শিল্পী গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করছে।
সাত দফা দাবিতে জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে ইতোমধ্যে মানুষের ঢল নেমেছে। সমাবেশ শুরুর অনেক আগেই দলটির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উপস্থিতিতে প্রায় কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। উদ্যানের বাইরেও অবস্থান করছেন হাজার হাজার নেতাকর্মী।
দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বাস, ট্রেন ও লঞ্চে করে আসা নেতাকর্মীরা রাজধানীতে এসে মিছিল সহকারে সমাবেশস্থলে প্রবেশ করছেন। নেতাকর্মীদের অনেকের হাতে তাদের দলীয় প্রতীক দাাঁড়িপাল্লা শোভা পাচ্ছে। দাঁড়িপাল্লা ও দলীয় মনোগ্রাম সম্বলিত টি-শার্ট ও পাঞ্জাবি পরে এসেছেন হাজারো নেতাকর্মী।
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থেকে আসা জামায়াতকর্মী সোহেল হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের উপজেলা থেকে ৪০টি বাসসহ বিভিন্নভাবে কমপক্ষে ৩০ হাজার মানুষ এসেছি। সিরাজগঞ্জ থেকে আসা জামায়াতের কর্মী এরশাদ আলী বলেন, বাসে করে, ট্রেনে ৩০/৪০ হাজার নেতাকর্মী আমরা সিরাজগঞ্জ থেকে এসেছি। অনেকে রাত থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অবস্থান করছেন।
এদিকে জাতীয় সমাবেশ সফল করতে দায়িত্ব পালন করছেন ২০ হাজারের মতো স্বেচ্ছাসেবক। ভোর থেকে সমাবেশের আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিভিন্ন স্পটে স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন।
শনিবার ভোর থেকে হাইকোর্ট এলাকা, মৎস্য ভবন, শাহবাগ এলাকার বিভিন্ন স্পট ঘুরে দেখা গেছে, স্বেচ্ছাসেবকরা সবাই একই ধরনের ড্রেস পরে বিভিন্ন স্পটে অবস্থান নিয়েছেন। তারা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতাকর্মীদের সহযোগিতা করছেন। কোন অঞ্চলের মানুষ কোন গেট দিয়ে প্রবেশ করবেন তা বুঝিয়ে দিচ্ছেন।
মৎস্য ভবন স্পটের স্বেচ্ছাসেবক টিমের প্রধান মাসুদুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, সমাবেশে আগত নেতাকর্মীদের সহযোগিতা করাই আমাদের উদ্দেশ্য। পুরো রাজধানী জুড়ে আমাদের ২০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করছে। শুধু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশে ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করছেন। এদিকে ভোর থেকে বিভিন্ন জায়গা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী প্রবেশ করতে দেখা গেছে জামায়াত নেতাকর্মীদের।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ, সব গণহত্যার বিচার, প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার, ‘জুলাই সনদ’ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন ও এক কোটির বেশি প্রবাসী ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণ।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো এককভাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ করছে দলটি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available