নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, বিএনপি বলে আমরা জামায়াত, আবার জামায়াত বলে আমরা বিএনপি- এর মানে আমরা ঠিক পথেই আছি। এক সময় ডানপন্থীরা আমাদের বামপন্থী বলত, আবার বামপন্থীরা আমাদের ডানপন্থী বলত। তাহলে আমরা ঠিকভাবেই মধ্যপন্থী অবস্থানে আছি।

১ নভেম্বর শনিবার বিকেল ৪টায় পটুয়াখালী জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমিতে এনসিপির জেলা কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে আয়োজিত এক সমন্বয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।


হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা বিএনপি নই, আমরা জামায়াতও নই। সংস্কার বিষয়ে আমাদের যে মৌলিক অবস্থান রয়েছে, কখনও বিএনপি সেই অবস্থানের দিকে এসেছে- তখন মনে হয়েছে আমরা বিএনপিপন্থী। আবার কখনো জামায়াত আমাদের সঙ্গে অবস্থান নিয়েছে- তখন মনে হয়েছে তারা আমাদের পথে আছে। কিন্তু বাস্তবে আমরা কখনওই আমাদের মূলনীতি বা অবস্থান পরিবর্তন করিনি।
হাসনাত আরও বলেন, আমরা আমাদের জোটে কাকে অন্তর্ভুক্ত করব, তা নির্ভর করবে- কারা আমাদের সংস্কারের পক্ষে, কারা প্রাতিষ্ঠানিক তথ্য এবং সাংবিধানিক সংস্কারের পক্ষে অবস্থান নেয়। ২৪ পরবর্তী সময়ে যে জনআকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে, যারা সত্যিকারের বাংলাদেশ গড়তে চায়- আমরা তাদের সঙ্গে নিয়ে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করব। তাই এই জোট নিয়ে যে কথাবার্তা চলছে, তার কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
এনসিপির এই নেতা বলেন, অনেকে তো জুলাই সনদে সই করছেন। এরপর সইয়ের সময় বলছেন- ‘এটা ছিল, এটা ছিল না’। এক জায়গায় অন্য কাগজে সই করানো হয়েছে। দেখানো হয়েছে জরিনা, কিন্তু দেওয়া হয়েছে সকিনা। আমরা আগে থেকেই বলেছিলাম- সনদ দেখাতে হবে, তারপরই সিদ্ধান্ত নেবো সই করব কি না। তখন আপনরাই আমাদের বিরোধিতা করেছেন। এখন যখন তারা সঠিক পথে আসছে, জরিনার নাম বলে সকিনাকে এগিয়ে আনছে- এভাবে যদি সই করে দেওয়া হয়, তাহলে সেই দায় আমরা নেব কেন? আমরা শুরু থেকেই বলছি, জরিনা হোক বা সকিনা- প্রথমে আমাদের সনদটি দেখাতে হবে।
হাসনাত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিপ্লবের সনদ নিতে হলে যদি ‘চুপ্পু’ থেকে নিতে হয়, তাহলে আমি ‘ছোট হাসিনা’ থেকেই নেব। যদি সনদই নিতে হয়, সরাসরি ‘হাসিনা’ থেকেই নিব- কেন চুপ্পুর কাছেই যাব? সত্যি কথা হলো, তারা বড়টার কাছ থেকেই সার্টিফিকেট নিতে চায় কিন্তু মুখ খুলতে পারে না, তাই চুপ্পুর কাছ থেকেই নিতে চায়। এইভাবে এই অভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, চুপ্পুর কাছ থেকে যদি জুলাইয়ের সনদ নিতে হয়, তাতে বরং আমরা সবাই বিষ খেয়ে মরাই ভালো। আমি একজন আহত যোদ্ধাকে বলি- চুপ্পুর কাছ থেকে সনদ নিতে হবে, আপনি তাকে রাজি করাতে পারবেন না।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ও বরিশাল বিভাগীয় সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা আলম মিতু এবং যুগ্ম সদস্য সচিব ফয়সাল মাহমুদ শান্ত। সভায় সভাপতিত্ব করেন এনসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব ও প্রধান সমন্বয়কারী (পটুয়াখালী জেলা) অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম মুসা।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available